নিউজফিডবিডি.কম
ফেবু কর্ণার : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছুদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এক যুবকের লিখা খোলা চিঠি ভাইরাল হয়েছে। পাঠকের জন্য মো: উজ্জলের লিখা চিঠিটি হুবুহু তুলে ধরা হল।
খোলা চিঠি। চিঠি প্রেরকঃ মো. উজ্জল
দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া আর জনগণের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফাঁরাক। প্রিয় নেত্রী ইতিহাস আপনাকে জনগণের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার একটা সুযোগ দিয়েছে। চাটুকারদের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে এই সুযোগ পায়ে দূরে ঠেলে দিয়েন না, প্লিজ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভুলে যাবেন না, জাতির জনকের স্বদেশে ফেরার পর মোশতাক কিন্তু তাঁকে জরিয়ে ধরে কপালে চুমু খেয়েছিল। আপনার দাদা মারা যাওয়ার পর মোশতাক এসে গড়াগড়ি দিয়ে কী কান্নাকাটিটাই না করেছিল। আর সেই মোশতাক-ই জাতির জনককে খুন করার মত পৃথিবীর সবচেয়ে জঘণ্য কাজটা করেছিল। প্রিয় নেতার বুক যাদের বুলেটে ঝাঝড়া হয়ে গেছিছিল, তাদের মধ্যে কিন্তু খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাও ছিল। মাননীয় নেত্রী এইবার বুঝেন, একবার মুক্তিযোদ্ধা কি আজীবন মুক্তিযোদ্ধা? মোশতাকরা এখনও আছে। আপনার আশেপাশেই ঘাপটি মেরে আছে। রাষ্ট্রের এত এত কার্য সম্পাদনের ব্যস্ততার মধ্যে আপনি হয়তো তাদের চিনে উঠতে পারছেন না।
আর নিশ্চয়ই ময়মনসিংহের রমিজ উদ্দিনের কথা আপনার মনে আছে। ৭৫ এ আপনার বাবা মারা যাওয়ার পর আপনি এতিম হয়ে গেছেন, এটা ভেবে তাঁর সকল জমিজামা আপনার নামে লিখে দিয়েছিল। রমিজ উদ্দিন মারা যাওয়ার পর পিতৃ সম্পত্তিবঞ্চিত ছেলে যখন তাঁর মাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছিল। তখন জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন হয়। আর এই ঘটনা পত্রিকার মারফতে সবিস্তারে জেনে আপনি এর কিছুটা প্রতিদান দিয়েছিলেন। আমি বিশ্বাস করি এই ভালোবাসার প্রতিদান দেওয়া সম্ভব না।
মাননীয় নেত্রী রমিজ উদ্দিন কিন্তু কোনো মুক্তিযোদ্ধা ছিলো না। ছিলো খুবই একজন সাধারণ মানুষ। সে দিন আপনি বলেছিলেন রমিজ উদ্দিনের মত মানুষদের জন্যেই আওয়ামী লীগ বাংলার মাটিতে টিকে আছে, টিকে থাকবে। আমি বিশ্বাস করি, জাতির জনকের কন্যা হিসেবে আপনার স্থান ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ের গভীরে। এদেশের অধিকাংশই মানুষ-ই রমিজ উদ্দিনের মত আপনাকে ভালোবাসে। আপনি তাদের হতাশ করবেন না। আপনি তাদের তাদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে আপামর মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হবেন না, প্লিজ।
বি: দ্র: এদেশের কেউ ঘূর্নক্ষরেও মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাতিল চায়নি। কেননা স্বাধীন দেশের মানুষ জানে কীভাবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান করতে হয়। আমরা চাই ৫৬% কোটার একটা যৌক্তিক সংস্কার।
এন.এফ.বি/এন.এম